 
                          তেহরান (ইকনা): ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, তার দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া, আর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে না এমন নিশ্চয়তা পাওয়া এবং পরমাণু সমঝোতা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের অবসান ঘটানো পাশ্চাত্যের সঙ্গে যেকোনো চুক্তির প্রধান লক্ষ্য। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের সঙ্গে টেলিফোনালাপে তিনি এ কথা বলেছেন।
                                          
ইরানের প্রতিনিধি দল ভিয়েনা আলোচনাকে সফল করার জন্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা চালাচ্ছে উল্লেখ করে ইরানের প্রেসিডেন্ট আরো বলেছেন, চলমান দীর্ঘ আলোচনায় ইরানের পক্ষ থেকে গঠনমূলক অনেক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। তাই আমরাও আশা করি প্রতিপক্ষও এমন সব প্রস্তাব উত্থাপন করবে যাতে ইরানের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা যায়। এ টেলিফোনালাপে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টও বলেছেন, ভিয়েনা বৈঠকে এখন পর্যন্ত ভালো অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব আলোচনার ইতিবাচক পরিসমাপ্তি ঘটবে বলে আমরা আশা করি।
 
প্রকৃতপক্ষে, ভিয়েনায় চলমান আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার উপায় খুঁজে বের করা। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বলছেন সংলাপ বর্তমানে অত্যন্ত স্পর্শকাতর অবস্থানে এসে পৌঁছেছে এবং এখন ওয়াশিংটনকেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে হবে। সংলাপের ভবিষ্যত আমেরিকাকেই নির্ধারণ করতে হবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান গতকাল জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক ৫৮তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের অবকাশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেলের সঙ্গে সাক্ষাতে পরমাণু সমঝোতার বিষয়ে তেহরানের অবস্থান তুলে ধরেন।
 
গত প্রায় এক মাস ধরে ভিয়েনায় পরমাণু সমঝোতা বিষয়ে জোর আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে পাশ্চাত্যের পক্ষ থেকে দুটি প্যাকেজ প্রস্তাব এবং ইরানের পক্ষ থেকে একটি প্যাকেজ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে এখনো আলোচনা চলছে। বিতর্কিত ইস্যুতে মতবিরোধ অনেকটাই কমে এসেছে এবং সব পক্ষই কোনো মতবিরোধ ছাড়াই অভিন্ন অবস্থানে পৌঁছার চেষ্টা করছে। গত শুক্র ও শনিবার ইরানের প্রধান আলোচক আলী বাকেরি কানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক উপপ্রধান ও পরমাণু আলোচনা বিষয়ক সমন্বয়কারী এনরিকা ম্যুরা এবং রুশ প্রতিনিধি মিখাইল উলিয়ানভের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন।
 
ভিয়েনায় ইরানের প্রতিনিধি বহুবার বলেছেন, ইরানের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পাবে। কিন্তু আমেরিকাসহ পাশ্চাত্যের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে গড়িমসির কারণে ভিয়েনা সংলাপের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। iqna